এক ভাই প্রশ্ন করেছে,ওয়েবসাইটে মুভি আপলোড করে ইনকাম হালাল নাকি হারাম হানাফি মাজহাব অনুযায়ী ফতোয়া।


ফতোয়া (হানাফি মাজহাব অনুযায়ী):

🔹 রায়:

মুভি আপলোড করে ইনকাম করা — হারাম।

📚 কারণ ও দলিল:

১️⃣ অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার প্রচার

বেশিরভাগ মুভিতেই থাকে —

গান-বাজনা,

নারী-পুরুষের অবৈধ মেলামেশা,

মিথ্যা, প্রতারণা, হিংসা, এবং অশ্লীল দৃশ্য।

👉 এগুলো কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী হারাম কাজ।

আর যে ব্যক্তি এ ধরনের জিনিস “প্রচার” করে বা “সহায়তা” করে, সে পাপের অংশীদার হয়।

📖 আল্লাহ তাআলা বলেন:

وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ

অর্থ: “পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করো না।”

📚 (সূরা মায়িদা – ৫:২)

🎯 মুভি আপলোড বা শেয়ার করা মানে হলো —

অশ্লীলতা ও গুনাহর কাজে সাহায্য করা, তাই এটি হারাম ইনকাম।

২️⃣ হারাম উপার্জনের হুকুম

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

إِنَّ اللَّهَ إِذَا حَرَّمَ شَيْئًا حَرَّمَ ثَمَنَهُ

অর্থ: “আল্লাহ যখন কোনো জিনিস হারাম করেছেন, তখন তার দাম (উপার্জন)কেও হারাম করেছেন।”

📚 (আবু দাউদ, হাদীস: ৩৪৮৮)

🎯 তাই হারাম জিনিসের মাধ্যমে আয় — যেমন মুভি, গান, বা অশ্লীল কনটেন্ট — সবই হারাম উপার্জন।

৩️⃣ ফতোয়া (দারুল ইফতা – হানাফি মত অনুযায়ী):

“যে কোনো ভিডিও, গান, নাটক, বা চলচ্চিত্র যা শরীয়তবিরোধী বিষয়বস্তু বহন করে, তা দেখা, শোনা, প্রচার করা ও তাতে উপার্জন করা — সবই হারাম।”

📚 (ফতোয়া দারুল উলুম দেওবন্দ, ফাতাওয়া রশিদিয়া, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৩৪১)

💰 যদি কেউ “হালাল” কনটেন্ট বানায়?

যেমন:

ইসলামি শিক্ষামূলক ভিডিও,

শিশুদের জন্য শিক্ষণীয় অ্যানিমেশন,

নৈতিক গল্প বা দাওয়াতি ডকুমেন্টারি —

তাহলে সে ইনকাম হালাল হবে,

যতক্ষণ কনটেন্টে অশ্লীলতা, মিথ্যা, বা নিষিদ্ধ কিছু না থাকে।

Post a Comment

0 Comments