আমি আতাউর রহমান বিক্রমপুরী। আমি ফ্যাসিস্ট হাসিনার আয়নাঘরের ভিক্টিম।
ওনাকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জাহিদুল হাসান বলেছেন, "রাজনৈতিক সরকার থাকলে এই বিক্রমপুরীকে গুলি করে মেরে ফেলতাম।"
তিনি আরও বলেন:পুলিশ আমাকে হত্যাযোগ্য করে তোলার জন্য তিনটি মিথ্যাচার করেছে:
১। আমাকে কথিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বানিয়েছে, অথচ এধরণের কোনো সংগঠনের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমার সকল কাজকর্ম সোশ্যাল মিডিয়া ও জনপরিসরে প্রকাশ্য। আমাকে জঙ্গি বানানোর জন্য তিনি আওয়ামী আমলে হওয়া আমার নামে একটি মামলার কথা বলেছেন। আমি মজিব বর্ষের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার কারণে, মুজিববাদের বিরোধিতা করার কারণে সরকারের সমালোচনা করার কারণে আমাকে প্রথমে আয়না ঘরে নিয়ে নির্যাতন করা হয় এবং পরবর্তীতে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। জুলাইয়ের পর সেই প্রসঙ্গটি নিয়ে আমাকে জঙ্গি বানিয়ে আমাকে হত্যা যোগ্য করে তুলেছে পুলিশ।
২। আমাকে র'এর এজেন্ট সাব্যস্ত করেছে। অথচ র'এর জঙ্গি শাখা দেশবিরোধী ইসকনের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান সুস্পষ্ট এবং একারণে তারাও আমাকে বারবার হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
৩। সে আমাকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত বলছে। অথচ নির্বাচন নিয়ে কখনো আমার থেকে কোনো বক্তব্য আপনারা শোনেননি। আমি যেহেতু ইসলামি শাসনব্যবস্থায় বিশ্বাস করি, নির্বাচন হওয়া বা না হওয়া নিয়ে আমার মাথাব্যথার কোনো কারণ নেই।
....
পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের হুমকি পেয়ে আমি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
যে পুলিশের হাতে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কেনা অস্ত্র দেওয়া হয় জনগণের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সেই পুলিশ যদি নিজ দেশের শান্তিকামী নাগরিককে বুলেটের নিশানা বানায়, তাহলে সেই নাগরিকের নিরাপত্তা কে দিবে?
আমি প্রথমত আল্লাহর আদালতে, অত:পর সভ্য সমাজের চিন্তাশীল জনতার বিবেকের কাছে এই বিচার দিয়ে রাখলাম।
রাষ্ট্রীয় পুলিশের পোষাক পরে, একজন নাগরিককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার পরও সেই ব্যক্তিকে যদি চাকরিতে বহাল রাখা হয় তাহলে এই সেই রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তি কোথায় থাকে সেই প্রশ্নও জনতার আদালতে রাখলাম
আর আমি ভরসা করলাম সপ্তম আসমান ও জমিনের মালিক, আরশে আজিমের অধিপতি মহান আল্লাহর উপর।
নিশ্চয়ই পুলিশের চেয়ে আমার রবের নিরাপত্তা আমার জন্য উত্তম। আমি আমার রবের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
![]() |

0 Comments