গাজিপুরের ইমাম মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজি সাহেবের ঘটনাটা এখন আর কেবল তার একার ঘটনা নয়, এটা একটা জাতীয় বিষয়। এর সাথে জনগণের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত।
তার মেয়ের জামাইয়ের বরাতে শুনতে পেলাম তাকে থানায় নিয়ে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করছে পুলিশ। তার দুই ছেলেকেও থানায় একরকম আঁটকে রাখা হয়েছে।
তাকে থানায় আটকে রাখা অবস্থায় ভুইফোড় একটা পোর্টাল দিয়ে নিউজ করানো হোলো। মিডিয়া ট্রায়ালের ফিল্ড তৈরি করার জন্য অনেক সময় এভাবেই প্লট তৈরি করা হয়। পুলিশের নিয়ন্ত্রিত অনেক মিডিয়া আছে এসব কাজের জন্য। এটাও তেমন কি না খতিয়ে দেখা দরকার।
মুসলিম জনতা এই বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে ন্যায্যতার জায়গা থেকে এবং জনপরিসরে তারা ন্যায়ের পক্ষে অবদান রেখেছে। অতএব ঘটনার ভেতরে যদি কোনো ঘাপলা থাকে তবে জনতার অবশ্যই জানার অধিকার আছে।
গাজিপুরের সম্মানিত উলামায়ে কেরাম এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত। ঘটনার মধ্যে ভিন্নতা থাকলে তাদেরকেও স্বচ্ছভাবে জানতে দিতে হবে।
মিয়াজি সাহেব যদি নিজেই সব নাটক করে থাকেন অবশ্যই তিনি ভয়ানক অপরাধ করেছেন--যদিও আমরা এখনো পর্যন্ত একথা বিশ্বাস করার কোনো গ্রাউন্ড পাচ্ছি না। যদি নাটক হয়ে থাকে তার আইন অনুযায়ী যা বিচার হওয়ার হবে। কিন্তু জনতা এখানে নির্দোষ। কারণ তারা পাবলিকলি এভেইলবল এবং ভিক্টিমের নিজ মুখের বর্ণনার উপর ভিত্তি করেই তাদের অবস্থান নিয়েছে।
পঞ্চগড় যাওয়ার গাড়ি হিসেবে শ্যামলী পরিবহনই কেন আসল সেটাও একটা প্রশ্ন, কারণ এর মালিকের ব্যাপারে ইস/কন সম্পৃক্ততার অভিযোগ আছে।
সব মিলিয়ে আমাদের অবস্থান হলো ন্যায়ের পক্ষে। কোনোরকম লুকোচুরি ও গোজামিল দেওয়ার চেষ্টা যে পক্ষই করবে সে ডুববে।
অনেকে আগেই পুলিশের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন, এটা খুবই দু:খজনক ব্যাপার। প্রশাসনের মধ্যে বিন্দুত্ববাদের প্রভাব অনেক গভীর। ইসকনের হাত প্রশাসনের মধ্যে অনেক লম্বা। আর এধরণের শত শত মিথ্যা নাটক করে মানুষের জীবনকে নরক বানানোর ইতিহাস পুলিশের আছে।
ইসকনকে বাঁচানোর চেষ্টা করে পুলিশের লাভ নেই; কারণ এই একটা ঘটনার মধ্যে এদের অপকর্ম সীমাবদ্ধ নয়। এদের প্রমাণিত অনেক অপকর্ম আছে। ইসকনকে বাঁচাতে গেলে ওদের সাথে পুলিশও ডুববে।
পুলিশ যদি সত্যবাদিও হয় সেটা বিশ্বাস করব সকল যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে তাদের অবস্থান নিশ্চিতভাবে সত্য প্রমাণিত হওয়ার পর। বেনেফিট অব ডাউট দেবো সবসময় জনগণকে, ভিক্টিমকে।
সত্য প্রতিভাত হোক আর মিথ্যা পরাজিত হোক।

0 Comments